1. multicare.net@gmail.com : আদালত বার্তা :
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন

নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদান

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদান
সম্পাদকের কলম
আদালত বার্তা : ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
বিজয়ের চূড়ান্ত লগ্নে দেশের শ্রেষ্ঠসূর্যসন্তানদের বধ্যভূমিতে নিয়ে হত্যা করেছিলো দেশিয় রাজাকার আলবদর আলশামসসহ জামায়েতের সহযোগিতায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। বাঙালিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়েছিল হানাদার বাহিনী। মুক্তিযুদ্ধের নির্ঘাত পরাজয় নিশ্চিত এটা বুঝতে পেরেই হানাদার বাহিনী নীল নকশা অনুসারে আমাদের মহান শ্রেষ্ঠসন্তানদের হত্যার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। যারা দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নানাভাবে সহযোগীতা করেছেন। প্রত্যেক বছর ১৪ ডিসেম্বর তাই বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করে থাকে গোটা জাতি। শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে স্মরণ করা হয় জাতির শ্রেষ্ঠসন্তানদের।

শহীদ বুদ্ধিজীবী বাঙালির শ্রেষ্ঠসন্তানরা চেয়েছিলেন একটি স্বাধীন বাংলাদেশ। ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে উঠবে স্বাধীনতা লাভের মধ্যদিয়ে। পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীরা ২৪ বছর ধরে বাংলাদেশকে নির্লজ্জভাবে শোষণ-শাসন করেছে।

যে কোনও দেশের শ্রেষ্ট সম্পদ তার শ্রেষ্ঠসন্তান বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, মনিষি, কবি-সাহিত্যিক, লেখক, গায়ক অভিনেতা-অভিনেত্রী। মুক্তিযুদ্ধে এরা স্বাধীনতার জন্য নির্ভয়ে কাজ করে গেছেন। ভারতে শরণার্থী হয়ে যারা ভারতের পশ্চিমবাংলায় আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেখানেও তারা মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার জন্য কাজ করেরেছেন। দেশের মধ্যে যারা ছিলেন তারাও সাহসের সঙ্গে কাজ করেছেন। কিন্তু তারা হয়তো জানতেন না, স্বাধীনতার প্রায় বিজয় মুহূর্তে তাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে। বাঙালির মেধাবি সন্তানদের একে একে হত্যার মধ্যদিয়ে পুরো জাতিকেই মেধাশূন্য করার পরিকল্পনা ছিলো।

ইতিহাসের কি জঘন্যতম হত্যাকান্ড। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে, স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে, একটি অন্ধকার অধ্যায় চিহ্নিত করে যখন অধ্যাপক, দার্শনিক, ডাক্তার, সাহিত্যিক, কবি, সাংবাদিক এবং অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গদের পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী পরিকল্পিতভাবে অপহরণ, নির্যাতন এবং হত্যা করেছিল এবং তাদের সাহায্য করেছিল দেশের রাজাকার, আল বদর এবং আল শামস বাহিনী।

জাতির এই শ্রেষ্ঠসন্তানদের জঘন্যভাবে হত্যা করে বাঙালির যে অপূরণীয় ক্ষতি করেছে তা পূরণ করার মতো নয়। আজও তা করা যায়নি। তবে এ প্রজন্মের সন্তানদেরক শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ব্যাপারে এখনও অনেক কিছুর জানার রয়েছে। এদের সম্বন্ধে বইপুস্তকে যা আছে তা খুব বেশি নয়। তাই আমরা মনে করি নতুন প্রজন্মের কাছে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের জীবনী সহ তাদের সামগ্রীক অবদান তুলে ধরা দরকার।

এদের হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত ছিলো সেই স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতক জামায়াত এখনও এই জঘন্য হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য কোনওদিন অনুশোচনা করেনি। বরং রাষ্ট্রক্ষমতায় যাবার সুযোগ পেয়েছিল বিএনপির কল্যাণে। এরা যাতে কখনও আর ক্ষমতায় যাবার সুযোগ না পায় এবং এদের অপরাধের মাত্রা যে কতটা তা সবার জানা। তাই এদের নিষিদ্ধ করার কাজটি এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। তবে হবে আমরা জানি না।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট