অপশক্তি উন্নয়ন অভিযাত্রার পথ রুদ্ধ করতে পারবে না।
সম্পাদকীয়
এডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল হক আদালত বার্তাঃ
কোনো অপশক্তিই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারার উন্নয়ন অভিযাত্রার পথ রুদ্ধ করতে পারবে না। ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নস্নাত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণের বিরামহীন পথপরিক্রমায় আমরা সবাই শামিল হয়েছি। আমাদের এই কষ্টসাধ্য কিন্তু অঙ্গীকারদীপ্ত স্বপ্নযাত্রায় বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের অবিচল আস্থা ও অকুণ্ঠ সমর্থন আছে। মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে জনগণকে নিয়ে সরকার আমাদের পবিত্র সংবিধান, গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মর্যাদাকে সমুন্নত রেখেছে, ভবিষ্যতেও রাখবে, ইনশা আল্লাহ।
আমাদের দেশ নিয়ে অপশক্তিরা গুজব রটায়। তাদের বলবো,বাংলাদেশ এখন অতটা খারাপ নেই। ডলারের সংকট এখন ঠিক সেরকম নেই, রপ্তানি আয়ও খুব একটা কমেনি। করোনাভাইরাস পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় পড়ে, সারা পৃথিবীর উন্নয়নশীল দেশের ন্যায় আমাদের কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমাদের কিছু খরচের ব্যাপারে মিতব্যয়ী হতে হয়েছে, কিছু সংকুচিত করতে হয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমরা এখন অতটা খারাপ নেই। ডলারের সংকট যথেষ্ট ছিল, এখন ঠিক সেরকম সংকট নেই। আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকার মনিটরিং বাড়িয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে এলসি খোলার নামে যতটা প্রয়োজন নয়, তার চেয়ে বেশি দিয়েও অনেকেই এলসি খোলে, কিন্তু ওই টাকাটা ফেরত আসে না। এ কারণে সরকার পণ্য কেনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ব্লুমবার্গের মূল্য তালিকা দেখে, সেটা মনিটর করে এলসি খুলতে দেয়। এলসি খুলতে যে অসুবিধার কথা বলা হচ্ছে তা নয়, আগে যেভাবে যখন-তখন খোলা হতো, ইচ্ছামতো হচ্ছে না, সেটা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
রপ্তানি আয় খুব একটা কমেনি। যেসব দেশে আমরা রপ্তানি করি, এমনকি যেগুলো খুব ধনী দেশ তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে, বাজার সংকুচিত হয়েছে, সেখানে অর্ডার কমেছে। অর্থনৈতিকভাবে তারা খুব চাপে আছে, তাদের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। তারই ফলে হয়তো কিছুটা কমেছে। রপ্তানি আয় বাড়াতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিকল্প বাজার খুঁজে বেড়ানো, রপ্তানিপণ্য বহুমুখীকরণে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কৃষক যথাযথ উৎপাদিত পণ্যের মূল্য না পেলে সমস্যা হবে। আবার মূল্য বৃদ্ধি পেলে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ কষ্ট হয়।
নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসররা গত বছর ২৮ অক্টোবর থেকে সহিংস কর্মসূচির মাধ্যমে সারা দেশে ৬০০-এর অধিক যানবাহন ভাঙচুর করেছে এবং নাশকতার ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। হরতাল ও অবরোধের নামে নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এবারের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। নির্বাচনের আগে অনেক চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র ছিল। বিএনপি নানা অপকর্ম করে নির্বাচন ঠেকাতে চেয়েছিল। কিন্তু মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে, তাদের অধিকার প্রয়োগ করেছে।